ফেসবুক একটা শয়তানের বক্স।অপকারীতা ছাড়া উপকারী কিছু নেই এতে।সোশ্যাল মিডিয়ার নামে আন সোশ্যাল বানায় আমাদের।মাদকাসক্তরা যেমন নির্দিষ্ট সময় পেরোনের পর আর টিকতে পারেনা মাদক গ্রহণ করা থেকে তেমনই ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তরাও নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর পর ফেসবুক এ বা সেসব সোশ্যাল মিডিয়ায় না ঢুকলে ছটফট করতে থাকে।সে অর্থে মাদকাসক্ত আর ফেসবুকাসক্তের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
ব্রেন এর তেজ কমায় এই ফেসবুক।আগে আমরা কিছু লিখতে হলে খাতায় লিখতাম।এখন ফেসবুকে লিখি বা প্রায় সময় কপি করি।কিন্তু বিজ্ঞান বলে ব্রেন হচ্ছে রাবারের মত যত চাপ দিবেন তত বড় হবে।আর আমরা ফেসবুকের জন্য এখন ব্রেনে চাপ দেয়া বা ব্রেন খাটানো ভুলেই গেছি।
হায় হায়!পড়ালেখার কথা আর কি বলবো...যে ছেলে বই ছাড়া কিছু বুঝতো না।যেই পড়াটা মুখস্ত করতে তার লাগতো ২০মিনিট সেই ছেলে এখন ফেসবুকে আসক্ত হয়ে শুধুমাত্র পরিক্ষার আগের দিন বই খুলে আর ২ঘন্টা পার হয়ে গেলেও মুখস্ত হয়না আগের মত।সবই কিন্তু এই ফেসবুকের জন্য।
অনেকে বলবেন ফেসবুক না থাকলে তো যোগাযোগ কমে যাবে।সংগঠনের প্রচার/নিজের প্রচার করবো কিভাবে।আসলে ফেসবুক যোগাযোগ বাড়ায় না বরং যোগাযোগ কমায়।আপনি হিসেব করে দেখুন,ফেসবুক খোলার আগে আপনি কতক্ষন বন্ধুদের সময় দিতেন আর এখন কতক্ষন দেন??হয়তো মেসেঞ্জারে হাই হেল তারপর শেষ বন্ধুর সাথে কথা বার্তা।সত্যি করে বলুন তো আগে যেই টান অনুভব করতেন বন্ধুদের জন্য এখন আর সেই টান অনুভব করেন কি?যেই বন্ধুকে এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর ফোন দিতেন এখন ফেসবুকে তাকে ২-১টা মেসেজ করে এক মাসেও ফোন দেন না।টান অনুভব করেন না আর তাদের প্রতি।টান অনুভব হয় লাইক আর কমেন্ট এর জন্য।
আমেরিকান এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০০২সালে যাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল ২২জন ২০১৪সালে তাদের বন্ধু কমে দাড়িয়েছে ২জনে।একমাত্র কারণ এই ফেসবুক বা সোশাল মিডিয়া।আমাদের অবস্থাও সেম।
আমরা অনেকে ফেসবুক ছাড়তে পারিনা কিছু যুক্তির কারণে।যেমন ফেসবুক না চালালে দুনিয়ার খবর হাতের মুঠোয় আসবে কি করে??ঠিক না??
এখানে আমার উত্তর..আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নেয়া কি দরকার!!?অর্থাৎ :আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা কি!!অং সাং সূচির নোবেল নিয়ে কি কি আলোচনা হলো বাংলাদেশ এর কোনাকাঞ্চিতে কি কি ঘটনা ঘটলো এসব জেনে আসলে আমাদের লাভ কি??বাস্তব জীবনে কি এসবের কোনো প্রয়োজন আছে??নাই।কিন্তু এই যুক্তিতে ফেবু ছাড়তে পারিনা।আসলে আমরা খুবই দূর্ভাগা।আমাদের কিশোর বয়সে এমন এক শয়তানের বাক্স আমাদের ভাগ্যে জুটেছে।এই শয়তানের বাক্স ছাড়া চলা নাকি এখন অসম্ভব।
এখানে আমার উত্তর..আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নেয়া কি দরকার!!?অর্থাৎ :আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা কি!!অং সাং সূচির নোবেল নিয়ে কি কি আলোচনা হলো বাংলাদেশ এর কোনাকাঞ্চিতে কি কি ঘটনা ঘটলো এসব জেনে আসলে আমাদের লাভ কি??বাস্তব জীবনে কি এসবের কোনো প্রয়োজন আছে??নাই।কিন্তু এই যুক্তিতে ফেবু ছাড়তে পারিনা।আসলে আমরা খুবই দূর্ভাগা।আমাদের কিশোর বয়সে এমন এক শয়তানের বাক্স আমাদের ভাগ্যে জুটেছে।এই শয়তানের বাক্স ছাড়া চলা নাকি এখন অসম্ভব।
উপরের কথাগুলো আমার ব্যক্তিগত অনুধাবন।আপনাদের কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায় কিনা জানিনা।
নিয়ত করেছি ফেসবুক ব্যবহার কমিয়ে দিবো।আস্তে আস্তে ছেড়ে দিব।তবে বিষয় টা ময়দানে সশস্ত্র জিহাদের চায়তেও কঠিন।

Comments
Post a Comment