Skip to main content

সালাম আদান-প্রদান নিয়ে চমৎকার কিছু হাদিস।

আমরা জানি "সালাম" ইসলামের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অনুষঙ্গ।এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দিবে এটাই নিয়ম।সালাম বিনিময়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে বাস্তব জীবনে।আসুন আমরা সালাম নিয়ে বিস্তারিত জানি।এবং সালাম বিষয়ে কিছু হাদিস জানি।

সালাম শব্দের অর্থ শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা।স্বাগতম জানানো।আনুগত্য প্রকাশ করা।পারিভাষিক অর্থে কুশল বিনিময় করাকেই সালাম বলা হয়।
প্রায় ওলামায়ে কেরামের মতে সালাম দেয়া সুন্নাত আর উত্তর দেয়া ওয়াজিব।"সালাম" ইসলামের নিদর্শন ও সৌন্দর্য।
"সালাম"নিয়ে কিছু হাদিস;

১ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্নিত,তিনি বলেন,জনৈক ব্যক্তি রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন,হে আল্লাহর রাসূল!ইসলামের মধ্যে কোন কাজটি সর্বোত্তম?তিনি বললেন " তুমি অপরকে খাদ্য দেবে এবং তোমার পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দিবে।"(হাদিসটি ইমাম বুখারি ও মুসলিম রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণণা করেছেন)

 কিছু ব্যাখাঃএই হাদিসে সালামের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।ইসলামের মাঝে নামাজ রোজা হজ্ব যাকাতের যেমন গুরুত্ব বা ফযিলত রয়েছে তদ্রুপ "সালামে'র" গুরুত্ব ও বিদ্যমান।

২ঃ সালাম ভালোবাসা বৃদ্বি করে...
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পুর্ন ঈমান আনবেনা,ততক্ষ্ণ পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।আর তোমরা পুর্ন ঈমানদার হতে পারবেনা ,যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে।আমি কি তোমাদেরকে এমন এক জিনিস এর সন্ধান দিবনা,যা তোমরা প্রতিপালন করলে তোমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।(তা হল) তোমরা নিজেদের মধ্যে "সালামের" ব্যাপক প্রচলন কর। (ইমাম মুসলিম রাদিয়াল্লাহু আনহু হাদিসটি বর্ণ্না করেন)
কিছু ব্যাখাঃউক্ত হাদিস পাক গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করলে আপ্নারা বুঝতে পারবেন যে,ভালোবাসা বৃদ্ধি ছাড়া জান্নাত মিলেনা।আর ভালোবাসা বাড়ে সালামের মাধ্যমে।তাই নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি সালামের প্রচলন করতে বলেছেন।


৩ঃ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোটদের সালাম দিতেন।
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত।তিনি বলেন নিশ্চয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) কিছু সংখ্যক বালকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং তাদের কে সালাম দিলেন। (ইমাম মুসলিম রাদিয়াল্লাহু আনহু হাদিসটি বর্ণ্না করেন)
কিছু ব্যাখাঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক নাবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে মানুষদের সালাম দিয়েছেন।ছোট হউক বা বড় হউক।বড়রা ছোটদের সালাম দিলে ছোটরা এর থেকে শিক্ষা পায় এবং সালাম দিতে আগ্রহী হয়ে উঠে।তাই বড়দের উচিৎ ছোটদের শিক্ষা দিতে বেশি বেশি সালাম প্রচলন করা।

কয়েকটি হাদিস ব্যখ্যা করে আপনাদের সামনে এটা বুঝাতে চাইলাম যে,ইসলামের মাঝে সালামের গুরুত্ব অপরিসীম।সালাম ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।রাগ কমিয়ে আনে।সমপর্ক তৈরি করে।এমন হাজারো উপকারিতা আছে সালামের মাঝে।তাই আসুন আমরা আজ থেকে সালাম এর প্রচলন বেশি বেশি করি।কারো সালামের প্রত্যাশায় না থেকে আগে নিজে সালাম দেয়া শুরু করুন।দেখবেন আগামী দিন সেই আপাঙ্কে আগে সালাম দিবে।আর হ্যা!সালামের উচ্চারণ ও শুদ্ধ করে নিবে।স্লামালাইকুম বলতে কোনো সালাম নেই।বলতে হবে আসসালামু আলাইকুম।

 আমার এই লেখাটা কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন,এবং শেয়ার করবেন।


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

বাংলাদেশের গর্ব নতুন আজহারী আব্দুল মোস্তফা রাহিম

বিশ্বের  সবচেয়ে  প্রাচীন  ইসলামিক  বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে  গ্রেজুয়েশন  শেষ  করে  দেশে  ফিরে  ইসলাম  প্রচার  করছেন  আল্লামা  বাকী  বিল্লাহ  রহঃ  এর  বড়  সাহেবজাদা  আব্দুল  মোস্তফা  রাহিম   আল আজহারী। জন্ম :  ১৫  সেপ্টেমবর   ১৯৯১ ইং। বাবা :  আল্লামা  বাকী  বিল্লাহ  রহঃ । পড়ালেখা :  জামেয়া  গাউছিয়া  তৈয়্যবিয়া  তাহেরিয়া   মাদ্রাসা , জামেয়া  আহমাদিয়া  সুন্নিয়া , কাদেরিয়া  তৈয়্যবিয়া  আলিয়া কামিল   মাদ্রাসা ,  আল আজহার  বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বীনি খেদমত :  বাংলাদেশের   প্রায়   সব  যায়গায়  উনার  পরিচিতি  বিস্তৃত।ওয়াজ  মাহফিলের  মাধ্যমে  ইসলামের  আলোচনা  দেশ বিদেশে  করে থাকেন।এ ছাড়াও  বিজয়  টিভি  এর  নিয়মিত  আলোচক এবং ঢাকার  হাবিবিয়া  মসজিদের ...

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখুন

           নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখুন                                                                            নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল মুবারাক                                                                                          হাজরে আসওয়াদ                                                               ...

বাংলাদেশে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ইতিহাস

                বাংলাদেশে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী  পালনের ইতিহাস নবিজির আগমনে খুশী উদযাপন করতে জশনে জুলুস বা আনন্দ মিছিল বাংলাদেশে প্রথম পালিত হয় ১৩৯৪ হিজরী মোতাবেক ১৯৭৪ সালে। আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তরিকত এর সংগঠন আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কে জশনে জুলুস বের করতে নির্দেশ প্রদান করেন। প্রথম জুলুসটি বের হয় চট্টগ্রাম থেকে ১৯৭৪ সালে। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে তৈয়্যব শাহ রহ নিজে জুলুসে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রথম দিকে কিছু মানুষ এর বিরোধীতা করলেও পরবর্তীতে সকল হক্ব পন্থী দরবার মেনে নেয়।তারা তাদের নেতৃত্বে নিজ নিজ এলাকা থেকে জুলুস বের করে। বর্তমানে জশনে জুলুস দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের মাঝে একটি। একটি বেসরকারী সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী ১২ রবিউল আওয়াল এ দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে জশনে জুলুসে অংশ নিয়ে থাকে। জশনে জুলুস বিশ্বের সর্ববৃহৎ জশনে জুলুস পালন হয়ে থাকে বাংলাদে...