Skip to main content

সফলতা লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়


মানুষ আজ সফলতা লাভের জন্য কত দিকে দৌড়াচ্ছে।কেউ টাকায় সফলতা খোজে।কেউ বা আবার খোজে ঘুরাঘুরি তে।আবার কেউ খোজে পারিবারিক সম্মানে।কিন্তু কেউই এগুলো করে সফলতার খোজ আর পায়না।


কিন্তু আজ আমি আপনাদের সামনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত ‘সফলতা’ লাভের পন্থা বলে দিচ্ছি।
যা মানলে আপনি সফলতার মুখ দেখবেন ১০০%।
চলুন হাদিস শরিফের মাধ্যমে জেনে নেয়া যাক সফলতা লাভের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়

সফলতা লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়  সংকলনেঃ গোলাম পাঞ্জেতান




হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত,এক বেদুইন প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে আবেদন করলো,হে আল্লাহর রাসয়ল!আমি আপনার কাছে এমন কতগুলো বিষয়ে জানতে চাই যা আমাকে দুনিয়া আখেরাতে লাভবান করবেন!রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন,তুমি যে বিষয়ে জানতে চাও জিজ্ঞেস করতে পার।তখন লোকটি বললো

বেদুইনঃ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,আমি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী হতে চাই। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ আল্লাহকে ভয় কর,তবেই সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী হতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশী ধনী হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ অল্পে তুষ্ট থাক,তবেই সবচেয়ে বেশী ধনী হতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি উত্তম মানুষ হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ মানুষের জন্যে উপকারী হও,তবেই উত্তম মানুষ হতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি সর্বাধিক ন্যায়পরায়ণ হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ তুমি নিজের জন্যে যা পছন্দ কর অপরের জন্যেও তা পছন্দ করবে,তবেই সর্বাধিক ন্যায়পরায়ণ হতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ আল্লাহকে অধিক স্বরণ কর,তবেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারবে।

বেদুইনঃ কীভাবে আমার ঈমান পূর্ণ হবে?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ তোমার আচার-ব্যবহার সুন্দর কর,তবেই ঈমান পূর্ণ হবে।

বেদুইনঃ আমি সৎকর্মশীল হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ যখন আল্লাহর ইবাদাত করবে,মনে করবে তিনি তোমাকে দেখছেন।যদিও তাকে তুমি দেখতে পাচ্ছোনা।তবেই সৎকর্মশীল হতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ আল্লাহর আদেশ গুলো পালন কর,তবেই তার অনুগত বান্দা হতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি সমস্ত গুনাহ হতে মুক্ত হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ অপবিত্র অবস্থায় তোমার শরির ধৌত কর,তবেই গুনাহ হতে মুক্ত হতে পারবে
বেদুইনঃ আমি কিয়ামতের দিন নূরের মধ্যে হাশর করতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ নিজে সীমালঙঘন করনা।এবং অপরকে সীমালঙ্ঘন করতে দিবেনা।তবেই তুমি নূরের মধ্যে থাকতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ নিজের উপর দয়া কর।অর্থাৎ নিজেকে গুনাহ হতে বাচাও।এবং আল্লাহর বান্দাদের প্রতি দয়া কর।



বেদুইনঃআমি জানতে চাই কিভাব আমার গুনাহ কমবে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ অধিক পরিমানে ক্ষমা চাও।তবেই তোমার পাপের বোঝা হালকা হবে।

বেদুইনঃ আমি সবচেয়ে বেশী সম্মানীত হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ কখনো কোন ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে অভিযোগ করবে না।

বেদুইনঃ আমি চাই আমার রিযিক বাড়ীয়ে দেয়া হউক।


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ সর্বদা পবিত্র অবস্থায় থাকো,আল্লাহ তোমার রিযিক বাড়িয়ে দিবেন।

বেদুইনঃআমি আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় হতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ভালোবাসেন তুমিও তা ভালোবাস।

বেদুইনঃ আমি কিয়ামতের দিন আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাগ থেকে বাচতে চাই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ আল্লাহর কোনো সৃষ্ট জীবের প্রতি রাগান্বিত হবেনা।তাহলে কেয়ামত দিবসে আল্লাহর রাগ হতে বাচতে পারবে।

বেদুইনঃ আমি চাইনা রোজ কেয়ামতে আল্লাহ যেন আমাকে অসম্মানে না ফেলেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ তোমার গুপ্তাঙ্গকে ব্যভিচার হতে রক্ষা কর।তাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তোমাকে অসম্মান করবেনা।

বেদুইনঃ আমি চাই আমার দোয়া যেন কবুল হয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ হারাম দ্রব্য পানাহার করোনা,তোমার দুয়া কবুল হবে।

বেদুইনঃ আমি চাই আল্লাহ পাক যেনো কিয়ামতের দিন আমার দোষ গুলো গোপন রাখেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ তোমার অপর মুসলম ভাইয়ের দোষগুলো গোপন রাখো,তবেই কেয়ামতের দিন তোমার দোষগুলো গোপন করা হবে।

বেদুইনঃ কোন জিনিস আমাকে পাপ হতে হিফাজাত করবে?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ তোমার অনুতাপের চোখের পানি,তোমার বিনয়,তোমার রোগ সমূহ।

বেদুইনঃ আল্লাহর নিকট ভাল কাজ কোন গুলো।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ ভাল আচার ব্যবহার,নমনিয়তা এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ করা।

বেদুইনঃ কোন জিনিস দুনিয়া আখেরাতে আল্লাহর গজব থেকে মানুষ কে বাচাবে?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ গোপনে দান ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা।

বেদুইনঃ কোন জিনিস কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন নিভিয়ে দিবে?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ সর্ব অবস্থা আল্লাহর ইচ্ছার উপর সন্তুষ্ট থাকা।

  ( হাদিস টি ইমাম আহমদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত)

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশের গর্ব নতুন আজহারী আব্দুল মোস্তফা রাহিম

বিশ্বের  সবচেয়ে  প্রাচীন  ইসলামিক  বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে  গ্রেজুয়েশন  শেষ  করে  দেশে  ফিরে  ইসলাম  প্রচার  করছেন  আল্লামা  বাকী  বিল্লাহ  রহঃ  এর  বড়  সাহেবজাদা  আব্দুল  মোস্তফা  রাহিম   আল আজহারী। জন্ম :  ১৫  সেপ্টেমবর   ১৯৯১ ইং। বাবা :  আল্লামা  বাকী  বিল্লাহ  রহঃ । পড়ালেখা :  জামেয়া  গাউছিয়া  তৈয়্যবিয়া  তাহেরিয়া   মাদ্রাসা , জামেয়া  আহমাদিয়া  সুন্নিয়া , কাদেরিয়া  তৈয়্যবিয়া  আলিয়া কামিল   মাদ্রাসা ,  আল আজহার  বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বীনি খেদমত :  বাংলাদেশের   প্রায়   সব  যায়গায়  উনার  পরিচিতি  বিস্তৃত।ওয়াজ  মাহফিলের  মাধ্যমে  ইসলামের  আলোচনা  দেশ বিদেশে  করে থাকেন।এ ছাড়াও  বিজয়  টিভি  এর  নিয়মিত  আলোচক এবং ঢাকার  হাবিবিয়া  মসজিদের ...

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখুন

           নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখুন                                                                            নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল মুবারাক                                                                                          হাজরে আসওয়াদ                                                               ...

যাকাত আদায় করার যুগোপযগী কিছু পদ্ধতি

 যাকাত আদায় করার যুগোপযগী কিছু পদ্ধতি লেখক;মুহাম্মদ গোলাম পাঞ্জেতান আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।সামনে আসছে মাহে রমজান।মুসলমান মাত্রই এ মাসের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে।কারণ এটা কোরআনের মাস।সিয়াম-সাধনার মাস।ইসলামের মাঝে এ মাসের ফজিলতের শেষ নেই।সাধারণ সময়ে একটি সোয়াবের যায়গায় রমজান মাসে ৭০টি সোয়াব দান করে মহান আল্লাহ।আল্লাহ জাল্লাজালালুহু সব সময় চায় তার বান্দাদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দিতে।বান্দা কিভাবে নেক বেশি করবে সেই ব্যবস্থা আল্লাহ পাক বেশি করে দেন এই রমজান মাসে।শয়তানের ওয়াসওয়াসাও কম থাকে এ মাসে।যার ফলে মানুষ ইবাদাত করে বেশি।সোয়াব বেশি হওয়ার কারনে সামর্থ্যবান মুসলমান রমজান মাসেই “যাকাত”দিতে পছন্দ করেন বেশি।ইসলামে ৫টি মূল স্তম্ভের মাঝে “যাকাত” অন্যতম।তাই আজকের ব্লগটি ‘ যাকাত ’ নিয়ে। কিভাবে যাকাত দিবেন,কোথায় দিবেন,কাদের দিবেন,কি পদ্ধতিতে দিবেন এ নিয়ে বিস্তারিত লেখার প্রয়াশ পাচ্ছি।পুরো টা পড়ে সংরক্ষণে রাখুন।আশা করি কাজে আসবে। যাকাত নিয়ে কোর আন -হাদিসের কিছু বানীঃ যাকাত নিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআন পাকে ইরশাদ করেন; “সফলতা অর্জন করে তারাই,যা...