চলে এসেছে আরবী মাসের প্রথম মাস
মাহে মহরম।

সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে হিজরী ১৪৪০
সালের নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
আপনারা সকলেই জানেন মহররম শব্দটি
যখনই আমাদের সামনে উচ্চারিত হয়,তখনই মুসলমান মাত্র ভেষে উঠে কারবালার বিষাদ প্রান্তের
কথা।যেই প্রান্তে শহিদ হয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় নাতী জান্নাতের সরদার হযরত ঈমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু।
তিনি ছিলেন আহলে বাইতের সদস্য।
আজ আমরা জানবো আহলে বাইত কারা।তাদের
মর্যাদা ও ফযিলত সমপর্কে।
পুরো আর্টিকেল টি পড়ে শেয়ার করে
দিবেন।
আহলে বাইতের পরিচয়ঃ আহল শব্দের বাসিন্দা
বা পরিবার।আর বাইত শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘর।যুক্তার্থ হচ্ছে ঘরের বাসিন্দা। শরিয়তের পরিভাষায়
আহলে বাইতের পরিচয় যদি আমরা হাদিস পাকে খুজতে যাই তাহলে দেখতে পাইতে,হযরত আয়েশা সিদ্দাকা
রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন যে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা কালো
নক্সা বিশিষ্ট চাদর পরিধান করে হুজরা শরিফে বসে রইলেন।এমতাবস্থান হযরত মা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু
আনহা আসলেন।তখন চাদরের মাঝে তাকে প্রবেশ করে নিলেন।এরপর হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনফু
আসলেন তিনিও প্রবেশ করেল।এরপর ঈমাম হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু আসলেন তিনিও প্রবেশ করলেন।সর্বশেষ
হযরত ঈমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু আসলে তাকেও চাদরের মাঝে প্রবেশ করিয়ে নিলেন।
এর পর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সূরা আহযাব এর ৩৩নং আয়াত তেলওয়াত করলেন।যেখানে আল্লাহ পাক বলছেন “ ওগো নবীর
বংশধরকাল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা হলো যে,তোমাদের থেকে প্রত্যেক ধরণের অপবিত্রতা দূরীভূত
করবেন এবং তোমাদের সবদিক দিয়ে পু;ত পবিত্র
রাখবেন।
দলিলঃ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৪৯
পৃষ্ঠা।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম যে,আহলে
বাইত হচ্ছে এই চাদরের মাঝে যারা ঢুকেছেন এবং পরবর্তীতে তাদের বংশে যারা এই ধরধমে শুভাগমন
করেছেন তারাই আলে রাসূল ।
আহলে বাইত কে কয়েকটি নামেই ডাকা
যায়,যেমন আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা নবী বংশের বংশধর।
পবিত্র কোরআনের
আলোকে আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদের মর্যাদাঃ মহান আল্লাহর বানী পবিত্র কোরআনের কয়েকটি
আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আওলাদে রাসূল/আহলে বায়াতের শান বর্ণণা করেছেন।
যেমন – সূরা আহযাব এর ৩৩নং আয়াত তেলওয়াত করলেন।যেখানে আল্লাহ পাক বলছেন
“ ওগো নবীর বংশধরকাল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা হলো যে,তোমাদের থেকে প্রত্যেক ধরণের অপবিত্রতা
দূরীভূত করবেন এবং তোমাদের সবদিক দিয়ে পু;ত পবিত্র
রাখবেন।
অন্যত্র মহান
আল্লাহ বলেন “ওহে আমার হাবীব! আপনি বলে দিন,হে মানব জাতী ( বিশেষত ঈমানদাররা)! আমি
তোমাদের থেকে হেদায়াত ও রিসালাত এর বাণী প্রচারের উপর তোমাদের নিকট আমার অতি
নিকটতম আপনজন ও আত্মীয়ফএর প্রি ভক্তিও মুহব্বত ছাড়া আর কিছু তালাশ করছিনা।
                                         -সূরা শুরা ২৫ পারা ৬নং আয়াত
মহান আল্লাহ বলেন,
নিশচয় আমি আপনাকে অধিক দান করেছি
                                                -সূরা কাওছার আয়াত ০১
এখানে অধিক দ্বারা
অধিক আওলাদ দান করেছি বুঝানো হয়েছে।যার ফলে বুঝা যায় আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
হাদিসের আলোকে
আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মর্যাদাঃ
অসংখ্য সহীহ হাদিসে
মুবারাকায় আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আওলাদে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদা ও ফযিলত আমাদের কাছে তুলে
ধরেছেন।আমরা আজ কয়েকটি হাদিস জানবো।
১ ; আওলাদে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদের সাথে শত্রুতা কুফরীঃ
হযরত মিসওয়ার ইবনে
মখরমা রাদিয়াল্লাহু আনহুহতে বর্ণিত হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করেন, “ফাতেমা আমার নূরানী শরির মুবারক্র একটি টুকরা।যে তার সাথে শত্রুতা রাখে সে
আমার সাথে শত্রুতা রাখে/
(বুখারী,যখারায়েরুল
উখবা)
২/ হাশর
দিবসে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গম্বুজের নিচে আওলাদে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদের স্থানঃ 
হযরত মুসা আসয়ারী
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইওহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমু
এবগ হযরত আলী,মা ফাতেমা,আর ইমাম হাসান ও ঈমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহি কিয়ামতের
দিন এক গুম্বজের নিকট একত্রিত হবো।
§  আলে রাসূল পৃষ্ঠা ৩০৬
৩/ আওলাদে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদের মুহাব্বতকারীরা কিয়ামতে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একত্রিত হবেঃ বর্নিত আছে যে,
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত ঈমাম হাসান ও হযরত ঈমাম হোসাইন
রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাত ধরলেন এবং ইরশাদ করলেন,যে ব্যাক্তি আমাকে ভালোবাসবে এই
দুজনকে ভালোবাসবে এবং তাদের আব্বা আম্মাকে (হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত মা
ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা) ভালোবাসবে,কেয়ামতের
দিন আমার সাথে একই স্থানে থাকবে।
                                        (মুসনাদে আহুমদ ২য় খন্ড)

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা; আপনাদের ধৈর্যচ্যুতি হয়ে যাবে বিধায় এই আর্টিকেলটি আরো বড় করেনি।তবে আপনারা নিশ্চয় বুঝেছেন এবং অনুধাবন করেছেন যে,ইসলামের মাঝে আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদের কত মর্যাদা।তাদের ভালোবাসার ফযিলত কত মহান।আসুন এ মাস থেকেই আওলাদে রাসূলদের সর্বোচ্চ ভালোবাসা অন্তরে ধারণ করি।তাহলে আমাদের সঠিক ঈমান আমাদের নসিব হবে।আমিন।ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
                              লেখক ; গোলাম পাঞ্জেতান
আমার ঈমান ব্লগ
পোষ্ট এ আপনি ইসলাম এর বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন অতি সহজে।তাই অনুরোধ করবো আপনি ইসলাম নিয়ে জানতে এই ব্লগের
সাথেই থাকুন।
         ❤ copyright © www.amariman.blogspot.com ❤


Comments
Post a Comment